আলিফ হোসেন,তানোরঃ রাজশাহীর তানোরে বোরো বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষক। তানোরে চলতি মৌসুমে কৃষকরা রোপা আমণ কাটা-মাড়াই এবং আলু রোপণ ও বোরো বীজতলা তৈরিতে ব্যাস্থ্য সময় পার করছেন। তবে গত দু’দিন ধরে মেঘলা আকাশ ও দিনভর হালকা বইছে এতে কিছুটা হলেও কৃষকের কপালে দুঃসচিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কারণ বীজতলা তৈরীতে খরচ প্রায় দ্বিগুন, কোনো কারণে আবহাওয়া প্রতিকুল হলে কৃষকরা অপুরনীয় ক্ষতির মুখে পড়বে। জানা গেছে, উপজেলার বিলকুমারী বিল পাড়ের জমি থেকে পানি নেমে যাওয়ায় অধিকাংশ কৃষক এসব জমিতে বোরো বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করেছে। অপরদিকে উপরের জমিগুলো থেকে কৃষকরা রোপা আমন ধান কেটে শুরু করেছেন আলু রোপণ।উপজেলার মাঠে মাঠে রাতদিন চলছে জমি চাষ, রোপা আমন কাটা-মাড়াই ও আলু রোপণ। আবার কিছু কিছু জমিতে বোরো চাষের জন্য বীজতলাও তৈরি করা হচ্ছে। ফলে কৃষি কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, তানোরে চলতি মৌসুমে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পানি নিচে নামতে শুরু করায় কৃষকরা বিলের জমিতে বোরোর বীজতলা তৈরীতে বেশী আগ্রহী। তানোর গুবিরপাড়া গ্রামের কৃষক আবদুল মান্নান বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিস্তীর্ণ ফসলি মাঠে বোরো চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করছেন। তিনি বলেন, উপরের প্রায় বেশীর ভাগ জমিতে এখন আলু চাষ শুরু করেছেন চাষীরা। আলু তোলার পর ওইসব জমিতেও বোরো চাষ করা হবে। কৃষকরা বলছেন, বিলের ধারের জমিগুলোতে একটু আগেই বোরো ধান রোপন করতে হয়, দেরি হলে ধান ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তানোরের ছাঐড় গ্রামের আইয়ুব আলী ও আব্দুল আলী বলেন, এলাকার কৃষকরা বিলের ধারের জমিগুলোতে তারা বোরো চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করছেন। অপর দিকে উপরের জমিতে শুরু করেছেন আলু চাষ। আলু তোলার পর ওইসব জমিতেও বোরো ধান চাষ করবেন। তারা বলেন, বিলের ধারের জমিতে একটু আগেই বোরো ধান রোপন করা হয়। বিলের ধারের জমিতে দেরিতে বোরো ধান চাষ করা হলে পানিতে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তানোরের বীজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, তানোরে বিলের জমিতে বোরো চাষের জন্য কৃষকরা বীজ কিনতে শুরু করেছেন। ডিলাররা বলছেন, আলুবীজের দাম বাড়লেও বোরো বীজের দাম বাড়েনি আগের মতই রয়েছে। কৃষকরা বলছেন, এবছর বোরো বীজের দাম বাড়েনি, ডিলারদের দোকানে বোরো বীজ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে সহজেই বীজ কিনে চারা তৈরি শুরু করেছেন, তবে সার ও কীটনাশক নিয়ে কৃষকরা সঙ্কিত রয়েছে। তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম বলেন, তানোর বিল কুমারী বিলের পানি নিচে নামতে শুরু করায় কৃষকরা বোরো বীজতলা তৈরি শুরু করেছেন। তবে, উপরের জমিতে কৃষকরা রোপা আমন ধান কেটে আলু রোপন করছেন, আলু তোলার পর ওইসব জমিতেও বোরো চাষ করা হবে। বীজ ও সারের সংকট হবে না, সহজেই কৃষকরা বীজসহ সার পাচ্ছেন এবং পাবেন বলেও জানান তিনি।