সিলেট সংবাদদাতা : সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে নববধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতাদের
ডিএনএ নমুনার সাথে মামলার আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া গেছে।
তবে আট আসামির ডিএনএ নমুনার মধ্যে পরীক্ষায় কতজনের নমুনায় সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।রোববার সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এবিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের তথ্য জানান।
তিনি জানান, ডিএনএ প্রতিবেদন শাহপরাণ থানার পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্যের হাতে এসে পৌঁছেছে।
আলোচিত এ ঘটনার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও ডিএনএ প্রতিবেদন না আসায় মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া এতদিন সম্ভব হয়নি। ডিএনএ প্রতিবেদন হাতে আসায় দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে এবং বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
এ মামলায় গ্রেপ্তার আটজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরা হলেন- মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, রাজন মিয়া, আইনুদ্দিন, মাহফুজুর রহমান ও তারিকুল ইসলাম তারেক।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার এক দম্পতি নিজেদের প্রাইভেট কারে শাহপরাণ (রহ.) এর মাজার জিয়ারত শেষে ফেরার পথে এমসি কলেজের প্রধান ফটকে কেনাকাটার জন্য থামেন। এরপর গাড়িসহ স্বামী-স্ত্রীকে ছাত্রাবাসে ধরে নিয়ে স্ত্রীকে গাড়ির ভেতর ধর্ষণ করা হয়।
এ ঘটনায় পরদিন সকালে সেই নববধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।