এ খবর এলাকায় জানাজানি হলে সাধারণ নেতাকর্মীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপি নেতা কাজী মিজান মেঘনা নদীর ত্রাস, তার নেতৃত্বে মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে পুরো চাঁদপুর জেলাকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছেন। তার ছোট ভাই হাবিব জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আধ্যায়নরত অবস্থায় ছাত্রদলের হল শাখার নেতৃত্ব দিয়েছেন, তার আরেক ভাই সদ্য সাবেক মতলব উত্তর যুবদলের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন, আরেক ভাই মাহবুবুর রহমান জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে সক্রিয়। সে কিভাবে এতো সাহস পায়। তার ক্ষমতার খুঁটির জোর কোথায়?
গত ১২ ফেব্রুয়ারী রাতে মোহনপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন স্থানে ডিউটিরত অবস্থায় থাকা এলিট ফোর্সের সদস্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সে জানায়, রাত ১০টা সাড়ে দশটার সময় ২টি উচ্চ বিকট শব্দ শুনতে পাই। তাৎক্ষনিক এসে কাউকে দেখিনি।
এ ব্যাপারে মামলার আসামী সাবেক ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি রহমত উল্ল্যাহ সরকার লিখন বলেন, মামলা হামলা এটা আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। বিএনপি- জামাত ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে একাধিক মামলার আসামী হয়েছি তাতে দুঃখ ছিলনা। কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় লোকাল এমপি (চাঁদপুর-২) আসনের সাংসদ নুরুল আমিন রুহুল আওয়ামীলীগ দলীয়। তারপরও ষড়যন্ত্রমূূলক মামলার আসামী হয়েছি বিষয়টি মানতে কষ্ট হচ্ছে।
মতলব উত্তর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক চাঁদপুর জেলা পরিষদের সদস্য মিনহাজ উদ্দিন খান বলেন, সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আমি তথা মতলব উত্তরের ত্যাগী নেতাকর্মীদের উপর মামলা- হামলা চলছে। তাতে কষ্ট নেই, কিন্তু স্থানীয় এমপি মহোদয়ের পরোক্ষ ইন্ধনে রাজাকার পুত্র বিএনপি নেতা কাজী মিজানের পৃষ্টপোষকতায় তার ম্যানেজার মামলা করেছে প্রতিটি ত্যাগী ও পরিক্ষিত নেতাকর্মীদের উপর তা মানতে পারছিনা। আমি দলের সিনিয়র নেতাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মামলার বিষয়ে মতলব উত্তর ছাত্রলীগের যুগ্ন-আহ্বায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ বলেন, বর্তমানে মতলব উত্তরের আ.লীগের রাজনীতি প্রহসনের রাজনীতিতে রুপ নিয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় কিন্তু বর্তমানে মতলব উত্তরে দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের উপর মামলা-হামলা চলছে। এই প্রহসনের রাজনীতি থেকে মতলবকে মুক্ত করতে আমি দলের সিনিয়র নেতাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।