বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

কমেছে মুরগির দাম উত্তাপ মাছ বাজারে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩
  • ৬৭ বার পঠিত

বিডি ঢাকা অনলাইন ডেস্ক

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে কমতে শুরু করেছে ব্রয়লারসহ সকল প্রকার মুরগির দাম। তবে উত্তাপ ছড়াচ্ছে মাছের বাজারে।
পবিত্র রমজানের শুরুতে জেলার বিশেষ করে জেলা সদরে অভিজাত মার্কেট বলে খ্যাত নিউমার্কেট এলাকার মুরগিপট্টিতে ব্রয়লারসহ সকল প্রকার মুরগির দাম বেড়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে দেশী মুরগির দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়।
মঙ্গলবার দেখা গেছে, দফায় দফায় বৃদ্ধি পাওয়া দেশী মুরগি বিক্রি হয়েছে ৫৫০ টাকা প্রতি কেজি। এই মুরগি বেড়ে সাড়ে ৬০০ টাকা হয়েছিল। সোনালি মুরগির দাম ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০০ টাকা। আর ২৩০ টাকার ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। সাদা লেয়ার ২৮০-২৯০ টাকা, প্যারেন্স ৩৭০-৩৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম আরো কমতে পারে বলে জানান আলম নামের এক বিক্রেতা।
অন্যদিকে গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা ও খাসির মাংসের দাম ৫০ টাকা কেজিতে বৃদ্ধি পেয়ে ১০০০-১১৫০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে।
সরবরাহ ঠিক থাকলেও সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে নদীর মাছসহ সব ধরনের মাছের দাম। কেজিতে বেড়েছে ২০-৩০ টাকা এবং ওজন ভেদে আবারো ৩০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে ইলিশের দাম।
নিউমার্কেটের মাছ বিক্রেতা শুকুর উদ্দিন জানান, ইলিশ মাছ গত সপ্তাহে বিক্রি করেছিলেন ১২০০ টাকা কেজি; তবে এই সপ্তাহে ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি করছেন ১৬০০ টাকা। ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি করছেন ১৪৫০ টাকা কেজি দরে। আর কেজি প্রতি আবারো ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে নদীর ছোট চিংড়ি ৬৫০ টাকা ও চাষের চিংড়ি বড়গুলো ৮৫০ কেজি দরে বিক্রি করছেন।
মাছ বিক্রেতা আয়াতুল্লাহ্ জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে নদীর মাছসহ অন্যান্য মাছের আমদানি কম, তাই দামও বেশি। ময়া ৭০০ টাকা, গুঁচি ১০০০ টাকা, বাঁশপাতা ১৪০০ টাকা, পিওলি ৮০০ টাকা, কাঁটাপাতাশি ৮৫০ টাকা, নদীর রাইখোর ৭০০-৭২০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, লাল ট্যাংরা ৭২০ টাকা, আড়াই কেজি ওজনের রুই মাছ ৩২০-৩৪০ টাকা, ট্যাংরা ৮০০-৮৫০ টাকা, ৩ কেজি ওজনের কাতলা ৩৫০-৩৬০ টাকা, দেড় কেজির রুই ২৬০ টাকা, ১ কেজির পাঙ্গাস ২৬০ টাকা, আধা কেজি ওজনের মিরকা ২২০ টাকা, ২ কেজির সিলভার কার্প ১৯০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে ছোট মাছের আমদানিও গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে অনেক কম। মলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৪৮০ টাকা এবং গোটি মাছ ৪০০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, নিউমার্কেটের মুদি বিক্রেতা জিয়াউর রহমান জানান, এই সপ্তাহেও মুদিবাজারে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদিপণ্যের দাম গত সপ্তাহের দামেই স্থীতিশীল রয়েছে। এই সপ্তাহে ডিমের প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়, আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০- ১৩০ টাকা কেজি দরে। সব ধরনের ডাল ও ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজি দরে। আতপ চাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকা কেজি দরে। চিনির দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১২ টাকায়, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৩-৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১ লিটার ১৮৫-১৮৮ টাকায়, লবণ ৩৮-৪০ টাকা, পেঁয়াজ ২৮-৩০ টাকা, চিকন আটাশ চাল ৬২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও, মোটা স্বর্ণা চাল ৪৮ টাকা, আটা ৬৩-৬৫ টাকা এবং রসুন ১৭০-১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে সবজি বাজারে নতুন-পুরাতন সকল শাক-সবজির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। বিক্রেতা উমর ফারুক জানান, করলা ৭০-৮০ টাকা, পটোল ৬০-৬৫ টাকা, সজনে ডাঁটা ৬০-৭০ টাকা, গড়-আলু ৮০-৯০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০-৭৫ টাকা ও কাঁচামরিচ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাটশাক বিক্রি হচ্ছে ১০-১২ টাকা আঁটি। তিনি আরো বলেন, দেশী আলু ১৫-১৬ টাকা, হল্যান্ড আলু ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০-২৫ টাকা, ছোট টমেটো ২০-৩০ টাকা ও বড় টমেটো ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, পাতাকপি ১৫-২০ টাকা, শশা ৫০ টাকা, কাঁচকলা ২০-২৫ টাকা, গাজর ৩০-৩৫ টাকা, মটরশুঁটি হাইব্রিড ৭০ টাকা ও দেশী ৯০-১০০ টাকা, বরবটি ১৬০ টাকা, কচু লতি ১২০ টাকা, ছিছিঙ্গা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক পিস ফুলকপি ১৫-২০ টাকা, পেঁয়াজ লাইল ১ কেজি ওজনের আঁটি ৫-৬ টাকা, লাউ ১ পিস ৪০ টাকা, কুমড়ো জালি ৮০ টাকা পিস, লেবু হালি ৩০ টাকা থেকে মান ভেদে ১০০ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও; অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম এখনো বাড়তি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com