টাঙ্গাইল সংবাদদাতা : সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে চলছে দূরপাল্লার বাস। এছাড়াও তিন চাকার যানবাহনও চলাচল করছে মহাসড়কে। এসব যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা চলাচলরত যাত্রী ও চালকরা।
শনিবার (৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ঈদকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো মানুষের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। মহাসড়কে গণপরিবহন না পাওয়ায় রাতেও বিভিন্ন স্ট্যান্ডে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা।
এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে রাজশাহীগামী শহিদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রায় আধা ঘন্টা যাবত গাড়ির জন্য দাড়িয়ে রয়েছি। স্বাভাকিরে তুলনায় ভাড়া ৭-৮ গুণ বেশি চাচ্ছে। তার পরেও গাড়ি পাওয়া যাচ্ছেনা।
রবীন নামের এক বাস চালক বলেন, ভোরে ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ যাওয়ার সময় মামলা খেয়েছি। সারাদিন সিরাজগঞ্জ থেকে এখন আবার ঢাকায় যাচ্ছি। বিভিন্ন চেকপোস্টে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে পাড়লে কোন সমস্যা হয় না। ফাঁকি না দিতে পারলেই মামলা খেতে হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার (৭ মে) সকাল ৬ টা হতে শনিবার (৮ মে) সকাল ৬ টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৫ হাজারের অধিক যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে পারাপার হয়েছে অন্তত
৩০০ বাস। এছাড়া পণ্যপরিবহনে নিয়োজিত যানবাহন, ব্যক্তিগত ছোট যানবাহন ও মোটরসাইকেল চলাচল করেছে বেশি।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত বলেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে নির্দেশ অমান্য করে দূরপাল্লার বাস চলাচল করলে মামলা দেওয়া হচ্ছে।