বিডি ঢাকা ডেস্ক
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারঘরিয়া ইউনিয়নের ২০ জন মহিলা সিসিএজি সদস্যকে নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সকাল ৯টা থেকে লক্ষীপুর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। বরেন্দ্র অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় খরা সহনশীল কৃষি পদ্ধতির প্রসার ঘটাতে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি।
প্রয়াসের এক্সটেনডেড কমিউনিটি ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্ট-ড্রাউট (ইসিসিসিপি-ড্রাউট)্; প্রকল্পের আওতায় এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ)-এর সহযোগিতায় আয়োজিত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন ২০ জন সিসিএজি সদস্য নারী কৃষক।
প্রশিক্ষণে কৃষকদের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, এর প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা, টেকসই কৃষি অনুশীলন এবং খরা সহনশীল কৃষি কৌশল সম্পর্কে শেখানো হয়।
এছাড়াও খরা সহিঞ্চু ফল ও ফসল নির্বাচন, বসতবাড়ির পরিত্যক্ত জায়গায় উঠানবাগান গড়ে তোলা, ভার্মিকম্পোস্ট তৈরির কৌশল এবং পানি সংরক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী উপ-পরিচালক(পি.পি.) কৃষিবিদ আমির আব্দুল্লা মো. ওয়াহিদুজ্জামান ও শস্য বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ মো. জহুরুল ইসলাম, প্রকল্পটির কৃষিবিদ মো. ফয়জুল হক। বরেন্দ্র অঞ্চলের বাস্তব জলবায়ুর পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেন প্রকল্প সমন্বয়কারী বকুল কুমার ঘোষ।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী বক্তব্য ও ইসিসিসিপি- ড্রাউট ঋণ কার্যক্রম সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন প্রকল্পের ফোকাল পার্সন ও প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির পরিচালক পঙ্কজ কুমার সরকার।
প্রশিক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল পরিবেশবান্ধব কৃষি প্রসারে জৈব সার ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া। এই লক্ষ্যে ভার্মিকম্পোস্ট তৈরির উপায় ও উপকারিতা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়। একইসাথে প্রয়াসের ইসিসিসিপি- ড্রাউট ঋণ কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা প্রদান করেন প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির ইউনিট-২ এর ব্যবস্থাপক মো. বাবুল আক্তার।
সার্বিকভাবে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন সিএমও জেনারেল মো. ওবাইদুল বারি।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি সিসিএজি সদস্যকে একটি করে খরা সহিঞ্চু পেয়ারা গাছের চারা প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা জানান, এমন কার্যক্রম তাদের খরা পরিস্থিতিতে কৃষি অভিযোজন এবং নতুন চাষ পদ্ধতি গ্রহণে অনুপ্রাণিত করবে।