বিডি ঢাকা ডেস্ক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে পণ্য পরিবহনে ট্রাক হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন বন্ধসহ ১৫ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলাশহরের মহানন্দা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপ ও জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলন করে।
জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি শহিদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়— সোনামসজিদ স্থলবন্দরে পণ্য পরিবহনে প্রতিটি ট্রাক হতে অবৈধভাবে ২ হাজার টাকা, বকশিশের নামে ৬০০ টাকা উত্তলন করা হচ্ছে; যা বন্ধ হওয়া দরকার। সোনামসজিদ আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের কিছু নেতা, ৩১ শ্রমিক সংগঠনের সমন্বয় কমিটির নেতারা এই কাজটি করছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, একটি ট্রাকের ভাড়া ২০ হাজার টাকা হলে অতিরিক্ত ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্য়ন্ত নেয়া হয়; কিন্তু ভাড়ার চালানে ২০ হাজার টাকা লেখা হয়। এর ফলে ট্রাকচালকরা মালিকের কাছে প্রশ্নের সম্মুখীন হয় এবং অনেকের চাকরিও চলে যাচ্ছে। তাছাড়া জেলার অন্য মালিকদের ট্রাক না নিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো ট্রাক নিচ্ছে। ফলে বহু ট্রাকমালিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়— চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপ ও জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ কমিটি থাকবে। যে কমিটির কাজ হবে, স্থলবন্দর হতে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের সর্বনিম্ন ভাড়ার হার ঠিক রেখে প্রতি ৭ থেকে ১০ দিনের ভাড়া নির্ধারণ করবে।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে আরো বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আজ শুক্রবার থেকে ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণাও দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন— জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম আনার। সঞ্চালনা করেন জেলা ট্রান্সপোর্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল। এসময় অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এই দুই সংগঠনের অভিযোগ অস্বীকার করে সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি একরামুল হক বলেন— যে আমদানিকারকের নিজের ট্রাক আছে তিনি তো অন্য মালিকের ট্রাক ভাড়া নিবেন না। অন্যদিকে যেসব আমদানিকারকের নিজস্ব ট্রাক নেই তারা দর কষাকষি করে ট্রাক ভাড়া করেন এবং যে টাকা চুক্তি হয় সে টাকারই চালান দেয়া হয়। অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।