তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরের রাজনৈতিক অঙ্গনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নয়াসমীকরণের সুত্রপাত হয়েছে, দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া।জানা গেছে, রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) সংসদীয় আসনে তানোর এবং গোদাগাড়ী উপজেলার ৪টি পৌরসভা নির্বাচনে তানোর ও কাঁকনহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের দলীয় এবং গোদাগাড়ী ও মুন্ডুমালা পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে নির্বাচনের এই ফলাফল নিয়ে জনমনে এসব সুত্রপাত ও মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অপরদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একশ্রেণীর দায়িত্বশীল বগী (আক্যাম্যা) নেতা দল, নেতা ও নেতৃত্বের সঙ্গে বেঈমানি এবং আদর্শ,নীতিনৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে ৩০ জানুয়ারী মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে প্রকাশ্যে নৌকার বিরোধীতা করে পরাজয় নিশ্চিত আবার একই দিন কাঁকনহাট পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিজয়েও তারা আনন্দ-উল্লাস করে। একইভাবে ১৪ ফেব্রুয়ারী গোদাগাড়ী পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিরোধীতা ও পরাজয় নিশ্চিত এবং একই দিন তানোর পৌরসভায় নৌকার বিজয়েও তারা বাঁধভাঙ্গা আনন্দ-উল্লাস করে। অর্থাৎ নৌকার জয় ও পরাজয় দুটোতেই তারা খুশি তাহলে এরা কেমন আওয়ামী লীগ যারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকার বিরোধীতা করে। সম্প্রতি, পৌরসভা নির্বাচনের এমন ফলাফল নিয়ে আওয়ামী লীগের বিপদগামীদের সমন্বয়ে গড়ে উঠা একটি দুষ্টুচক্র এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, প্রদিপ সরকার ও সুজনকে নিয়ে অপপ্রচার শুরু করেছে। পৌর নির্বাচনের মধ্যদিয়ে রাজনীতিতে এমপির অবস্থান টলমল ও পতন হয়েছে বলে তারা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছে। তবে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও এমপি বিজয়ী হয়েছে বরং যারা প্রকাশ্যে নৌকার বিরোধীতা করেছে তারা সাময়িক লাভবান হলেও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রত্যাখান ও পরাজিত হয়েছে আগামিতে দলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হলে তারা টের পাবেন কোন স্বপ্নের মধ্য ছিলেন। এদিকে স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ভাষ্য, যারা এসব ভাবছে তারা রাজনৈতিক বেকুব বোকার স্বর্গে বাস করছে। কারণ পৌর নির্বাচনে সকলের অবস্থান পরিস্কার হয়েছে, সুযোগসন্ধানী কতিপয় সুবিধাবাদী, মতলববাজ বগী নেতা যারা নৌকার জয় ও পরাজয় দটিতেই আনন্দ উল্লাসের মধ্যদিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করেছে। এতোদিন যারা এমপির বগলের নিচে থেকে তদবির ও ধান্ধাবাজী করে টাকার কুমির হয়ে উল্টো এমপিকে রাজাকার পুত্র, আওয়ামী লীগের চেতনাবিরোধী, হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশকারী অ্যাঙ্খা দিয়ে তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করেছে। অথচ এমপি আদর্শিক নেতৃত্ব হিসেবে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে অর্থ ও জনবল ইত্যাদি দিয়ে সর্বাত্মক প্রচেস্টার মাধ্যমে নিজের অবস্থান পরিস্কার করেছে। এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক নৌকার সম্মানের কথা বিবেচনা করে কাঁকনহাট আব্দুল মজিদ ও তানোর আবুল বাসার সুজনের বিজয়ের উজ্জ্বল সম্ভবনা থাকার পরেও তাদের বিদ্রোহী প্রার্থী থেকে সরিয়ে দিয়ে এমপি ফারুক চৌধুরী দলের তার প্রতি আনুগত্য ও আদর্শিকতার প্রমাণ দিয়েছে ।অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ লঙ্ঘন করে গোদাগাড়ী ও মুন্ডুমালা পৌরসভায় বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, শত বছরের রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান, তিনপ্রজন্মের জনপ্রতিনিধি গোলাম রাব্বানী ও সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুন। স্থানীয়দের অভিমত,এদের চিহ্নিত করে আগামি কাউন্সিলে দল থেকে বের করে দিয়ে আদর্শিক, তরুণ ও মেধামীদের নিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে এর কোনো বিকল্প নাই, এসব পৌরসভা নির্বাচন আওয়ামী লীগে কার কি অবস্থান সেটা স্পস্ট করে দিয়েছে বলেে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। তানোর পৌর মেয়র ও পরাজিত প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের কাছে নয়, তিনি পরাজিত হয়েছেন এমপির জনপ্রিয়তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্বাচনী কৌশলের কাছে পরাজিত হয়েছেন। তানোর পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র ইমরুল হক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, সাংসদ ফারুক চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান ময়নাসহ পৌরবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা শিকার করে বলেন, মানুষের ভালোবাসায় আমি মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। আগমীতে পৌরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা গড়বো ইনশাল্লাহ তিনি সকলের সহযোগীতা প্রত্যাশা করেছেন।