মোহনপুর উপজেলার তুলশীক্ষেত্র ব্রিজের নিচে হাটু পানি থেকে একটি অর্ধগলিত মগজ বিহীন মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। রোববার (১৬ মার্চ) সকালে তুলশীক্ষেত্র ব্রিজের নিচ হাটু পানিতে লাশ ভাসতে দেখে থানা পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৯ মার্চ রাত থেকে নিখোঁজ হন উপজেলার ধুরইল মন্ডলপাড়া গ্রামের মৃত কুদ্দুস শাহ এর ছেলে আলতাফ হোসেন (৫৩)। নিখোঁজের পর দিন বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি জমিতে মাথার মগজ পাওয়া যায়। সে থেকে প্রাথমিক ধারনা করা হচ্ছিলো নিখোঁজ আলতাফ হোসেনকে খুন করে লাশ গুম করেছে দুর্বিত্তরা। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে উদ্ধার করা অর্ধগলিত লাশটি আলতাফ হোসেন। পুলিশ জানায়, লাশটি আলতাফ হোসেন কিনা তা লাশের ফরেনসিক রিপোর্ট ও ডিএনএ টেস্ট করে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
পুলিশ আরো জানায়, আলতাফ হোসেন নিখোঁজ হওয়ার পরদিন থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন নিখোঁজ আলতাফ হোসেনের পরিবার। পরে মাথার মগজ উদ্ধার হওয়ার পর গত ১৪ মার্চ থানায় অপহরণ ও খুনের মামলা করে পরিবারটি। নিখোঁজ আলতাফ হোসেনের ছেলে আতাউর রহমান বাদি হয়ে ৬ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আলতাফ হোসেন নিখোঁজের পর বাড়ি থেকে পালিয়ে রয়েছেন আসামীরা। তারা হলেন, ধুরইল মন্ডলপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে রাসেল (২৪), শরিফুল ইসলাম (৩৫), মৃত্যু ওসমান শাহ এর ছেলে রুস্তম (৫৫), মৃত জেকের আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), মৃত্যু ওসমান শাহ এর ছেলে মোস্তফা (৪৫) ও মনির আলীর ছেলে হান্নান (৩৫)।
নিখোঁজ আলতাফ হোসেনের পরিবার জানায়, আসামীরা আলতাফ হোসেনকে অপহরণ করে খুন করে লাশ গুম করেছিলো। দীর্ঘ ৭ দিন পর আলতাফ হোসেনের অর্ধগলিত মগজ বিহীন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আসামীরা লাশ হাটু পানিতে পুতে পাথর চাপা দিয়ে রেখেছিলো।