মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ১০:২১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদে বঙ্গবন্ধু ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে ভোলাহাটে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস প্রয়াত দুই কলেজ শিক্ষকের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকার চেক বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে একুশে পদকপ্রাপ্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে জিয়াউল হকের পাঠাগারে ধর্মীয় বই উপহার দিল ইসলামিক ফাউণ্ডেশন শিবগঞ্জ উজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদে বঙ্গবন্ধু ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। ছত্রাজিতপুর ইউনিয়ন পরিষদে বঙ্গবন্ধু ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে শংকরবাটিতে যাকাতের পূর্ণ বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন চাঁপাইনবাবগঞ্জে আধুনিক ও রুচিশীল পোশাকের সমাহার নিয়ে ইনসাইড লাইফস্টাইলের যাত্রা শুরু

‘রানীগঞ্জ সেতু’ উদ্বোধন ঢাকা-সুনামগঞ্জের দূরত্ব কমল ৫৫ কিলোমিটার

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২
  • ১১৪ বার পঠিত
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা : ৭০২ দশমিক ৩২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের এই সেতুটির উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সুনামগঞ্জের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ‘দক্ষিণের দুয়ার’ খুলে গেল। পাগলা-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি সড়কে বিভাগের সবচেয়ে বড় সেতুটি চালু হওয়ায় রাজধানী ঢাকার সঙ্গে এ জেলার মানুষের বিকল্প সড়কের পাশাপাশি দূরত্ব কমেছে ৫৫ কিলোমিটার। সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থার পাশাপাশি পর্যটন ও ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদার হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।সুনামগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর ওপর নির্মিত সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় সেতুটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে হাওর অধ্যুষিত জেলাটির যোগাযোগব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছে নতুন মাইলফলক।

এই সেতুর ফলে সুনামগঞ্জ থেকে রাজধানী ঢাকায় আসতে হলে আর সিলেট ঘুরে নয়, সরাসরি হবিগঞ্জ হয়ে আসা যাবে, এতে রাজধানীর সঙ্গে সুনামগঞ্জের দূরত্ব কমেছে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার। এমনটি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অনেকে।

সোমবার সকালে জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটিসহ ১০০ সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের সাত বিভাগে এসব সেতুর উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।

৭০২ দশমিক ৩২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের এই সেতুটির উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সুনামগঞ্জের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ‘দক্ষিণের দুয়ার’ খুলে গেল।

পাগলা-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি সড়কে বিভাগের সবচেয়ে বড় সেতুটি চালু হওয়ায় রাজধানী ঢাকার সঙ্গে এ জেলার মানুষের বিকল্প সড়কের পাশাপাশি দূরত্ব কমেছে ৫৫ কিলোমিটার। সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় যাতায়াতব্যবস্থার পাশাপাশি পর্যটন ও ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদার হবে মনে করেন স্থানীয়রা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ১৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রানীগঞ্জ সেতু নির্মিত হয়েছে। এলাকাবাসীর বহুদিনের দাবি ছিল রানীগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের।

২০১৬ সালের আগস্টে কার্যাদেশ দেয়ার পর ২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি দীর্ঘ এই সেতুর নির্মাণকাজ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এম মান্নান।

জগন্নাথপুরের স্থানীয় বাসিন্দা দিদার কোরশী বলেন, এই সেতুটি হওয়ায় আমাদের যাতায়াতব্যবস্থার বিরাট একটা উন্নয়ন হয়েছে, আগে আমাদের ঢাকা যেতে হলে সিলেট হয়ে যাওয়া লাগত, এই সেতু হওয়ায় এখন সরাসরি হবিগঞ্জ হয়ে যাওয়া যাবে, যার ফলে আমাদের অনেকটা সময় বেঁচে যাবে। এ ছাড়া আমরা যারা ব্যবসায়ী তাদেরও পণ্য আনা-নেয়া অনেকটা সহজ হবে।

সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুর রহমান সিজান বলেন, ‘কুশিয়ারার ওপরে রানীগঞ্জ সেতু সুনামগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। সুনামগঞ্জবাসীর কাছে এই সেতু পদ্মা সেতুর সমতুল্য। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব কমানোর পাশাপাশি এই অঞ্চলে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে। বিশেষ করে হাওরাঞ্চলের মাছ ও ধানকে কেন্দ্র করে কৃষিভিত্তিক শিল্প গোটা জেলার চেহারা বদলে দেবে। সুনামগঞ্জবাসীর কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এ ছাড়া পর্যটনশিল্পেরও উন্নয়ন হবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজতর হওয়ায়।’

সুনামগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম প্রাং বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১০০টি সেতুর মধ্যে আমাদের জেলায় সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় রাণীগঞ্জ সেতুসহ আরো ১৭টি সেতু উদ্বোধন করেছেন। এ সেতুগুলো নির্মাণের ফলে এই অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু হয়েছে। যাতায়াতের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যও সম্প্রসারিত হবে।

টোল নির্ধারণ হলো সেতুটির

সিলেট বিভাগের এই সেতুটির জন্য যানবাহনের শ্রেণি ও টোল হার চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে সুনামগঞ্জ সড়ক বিভাগ জানায়, টোল হারে রিকশা-ভ্যান/রিকশা/বাইসাইকেল/ঠেলাগাড়ি ৫ টাকা, মোটরসাইকেল ১০ টাকা, অটোটেম্পো, সিএনজি অটোরিকশা, অটোভ্যান, ব্যাটারিচালিত ৩/৪ চাকার যেকোনো ধরনের মোটরাইজড যান ১৫ টাকা, ব্যক্তিগত গাড়ি এবং ভাড়ায়চালিত সব কার ৪০ টাকা, পিকআপ, কনভারশনকৃত জিপ, রেকার, ক্রেন ৬০ টাকা, চালক ছাড়া অন্যান্য ৮ জন এবং অনধিক ১৫ জন যাত্রী বহনকারী যান ৬০ টাকা।

এ ছাড়া চালক ব্যতীত অনধিক ৩০ জন যাত্রী বহনকারী যান ৭৫ টাকা, পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর ৯০ টাকা, ৩ টন পর্যন্ত পে-লোড ধারণে সক্ষম যানবাহন ১১৫ টাকা, চালক ছাড়া ৩১ অথবা তদূর্ধ্ব আসনবিশিষ্ট মোটরযান ১৩৫ টাকা, দুই এক্সেল বিশিষ্ট বিজিট ট্রাক/বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর এবং ট্রেইলার ১৫০ টাকা, তিন বা ততোধিক এক্সেল বিশিষ্ট ট্রাক, কাভার্ড ট্রাক/ভ্যান, কনটেইনারবাহী ট্রাক, অন্যান্য আর্টিকুলে ট্রেড যানবাহন ৩০০ টাকা, কনটেইনার, ভারী যন্ত্রপাতি, ভারী মালামাল/ সরঞ্জাম ৩৭৫ টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com