মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা : দেশব্যাপী বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার প্রথম দিন বুধবার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রীদের সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
সকাল থেকে ১৭টি ফেরির মধ্যে চলাচল করতে দেখা যায় ৫টি ছোট ফেরি। বিকেলে সীমিত আকারে ভারী যান পারাপারে জন্য ২টি রো রো ফেরি চালু করা হয়।
এবিষয়ে (বিআইডব্লিউটিসি) ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাফায়েত আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শতশত যানবাহন।
ঘাট ও স্থানীয়রা জানান, করোনা মহামারির কারণে কঠোর লকডাউনে চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলার চলাচল বন্ধ ছিল। এ কারণে এতোদিন যাত্রীরা শুধু ফেরিতে পারাপার করা হচ্ছিলো। লকডাউন শিথিল করায় ফেরি ও লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। তাই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ রাজধানীর ঢাকাসহ বিভিন্ন দিকে যাচ্ছেন। লঞ্চ চালু থাকলেও প্রতিটি ফেরিতে করে প্রচুর যাত্রী আসছে। তবে গার্মেন্ট, শিল্প কারখানা খোলার পর কিছুদিন আগে যে চাপ ছিলো, এখনকার চাপ তার চেয়ে কিছুটা কম রয়েছে।
এদিকে পদ্মা নদীতে এখন প্রচন্ড স্রোত। স্রোত ঠেলে ফেরি চলতে দ্বিগুণের বেশি সময় লাগছে গন্তেব্যে যেতে। স্রোতের কারনে ফেরি গুলো দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এসব কারণে শুধু শিমুলিয়া ঘাটেই চারশতাধিকের মত যানবাহন পারা পারের অপেক্ষায় আছে। এসব যানবাহনের মধ্যে ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।
বাংলাদের অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন শিমুলিয়া ঘাটের (বিআইডবিøউটিসি) ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাফায়েত আহম্মেদ জানান, সকাল থেকে ছোট ৫টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও হাল্কা যানবাহন পারাপার করা হচ্ছিলো। বিকেলে সীমিত আকারে ২টি বড় ফেরি চালু করা হয়। বড় ২টি ফেরিসহ এই নৌরুটে ৭টি ফেরি চলু রয়েছে। ঘাটে পণ্যবাহী ট্রাকসহ দুই শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন জানান, সকাল থেকে ভারী যানবাহন ফেরিতে চলাচল বন্ধ ছিলো এখন ৩টি বড় ফেরি চালু করা হয়েছে। ঘাটে দুইশতাধিক ছোট ও পন্যবাহী গাড়ি পারাপারে অপেক্ষায় রয়েছে। সিরিয়াল অনুযায়ী যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে ।