রাজশাহীর দুর্গাপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ফেরদৌসী (৫৫) নামের এক নারী নিহতের ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্গাপুর থানা পুলিশ। অপর একটি হত্যা চেষ্টা মামলায় আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিহত ফেরদৌসীর ভাই গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ ১০/১২জন অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় গত শনিবার অভিযান চালিয়ে উপজেলার ক্ষিদ্র লক্ষীপুর এলাকা থেকে হত্যা মামলায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। এছাড়াও একই ঘটনায় থানায় আরেকটি হত্যা চেষ্টা মামলা করা হয়েছে । পৃথক দুটি মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাইদুর রহমান (৩৯), মামুনুর রশিদ মামুন (৪০), জাহিদ হাসান পাইক (২০) , সাইনুল ইসলাম(৪৬), নূর ইসলাম(৫৫), বিলকিস (৪৮),রজুফা (৫৮) ,জায়েদা বিবি (৬০), জাহানারা (৬৫) , মর্জিনা বেগম (৩০), রাজিয়া (৩৮) , শাবনুর (২৬), রত্না (২১)। এছাড়া হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি হান্নান (৪৫), রবিউল (৪২)।
পুলিশ জানায়, উপজেলার ক্ষিদ্র লক্ষীপুর গ্রামের জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ফেরদৌসী বেগম নিহত হন। নিহতের ঘটনা ও হত্যা চেষ্টার মামলায় অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য, শনিবার ( ২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধে স্থানীয় দুপক্ষ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগে নেতা রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রেন্টু ও বিএনপির কর্মী মামুনুর রশিদ মামুন এর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিয়াজুল চেয়ারম্যান এর পক্ষের ফেরদৌসী বেগম মারা যান। এ ঘটনায় পনেরজন আহতদের মধ্যে তিনজন রামেক হাসপাতালে ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে আলম নামের আরেকজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুরুল হোদা বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরধরে পৃথক দুটি মামলায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার এজাহার নামীয় আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।