
বিডি ঢাকা ডেস্ক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিন ইউনিয়নে ওকাপ ( অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম) এর আয়োজনে অভিবাসন ফোরাম মিটিং শুরু হয়েছে। গত ১৯ অক্টোবর, সোমবার সকাল ১০টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ১নং বালিয়াগাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে প্রথম মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। এরপর, দ্বিতীয় মিটিংটি অনুষ্ঠিত হয় সদর উপজেলার ৫নং মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদে এবং তৃতীয় মিটিংটি অনুষ্ঠিত হয় ৪নং বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে।
এভাবে, মোট ২০টি মিটিং অনুষ্ঠিত হবে। এই মিটিংগুলোর মাধ্যমে অভিবাসন উন্নয়ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এবং কীভাবে অভিবাসীদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা হবে।
ওকাপ এর ফিল্ড অফিসার মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রবাসীরা নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন সরকারের পক্ষ থেকে, কিন্তু অনেক সময় তারা এসব সুযোগের বিষয়ে অবগত থাকেন না, যার ফলে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। ওকাপ এই তথ্য সবার মাঝে পৌঁছানোর কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, একটি নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে ১৩টি ধাপ অনুসরণ করা প্রয়োজন। বিদেশ যাওয়ার আগে, সঠিক তথ্য এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা জরুরি। বিদেশে গমনের আগে ভালোভাবে লাভ-ক্ষতির হিসাব করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ডিইএমও অফিসে নাম নিবন্ধন করতে হবে।
নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করার পরামর্শ
শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রবাসী কর্মীরা তাদের পাসপোর্ট নিজেই রাখবেন এবং ভিসা যাচাই করবেন। বিদেশ যাওয়ার আগে চুক্তিপত্র ভালোভাবে পড়ুন এবং অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবেন। তিনি আরও জানান, বিদেশ যাওয়ার পূর্বে তিন দিনের প্রাক-বহির্গমন প্রশিক্ষণে অংশ নিতে হবে এবং বিএমইটির স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করতে হবে।
ফিল্ড অর্গানাইজার মোহাম্মদ নকিবুল ইসলাম বলেন, যদি কোনো প্রবাসী কাজ না পেয়ে ফিরে আসেন এবং তার কাছে ফিরতি খরচ না থাকে, তবে তাকে ওকাপের নিজস্ব গাড়িতে বাড়ি পাঠানো হবে।তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রবাসী কর্মীদের পরিবারেও নানা সুবিধা রয়েছে, যেমন: প্রবাসী কর্মীদের সন্তানদের শিক্ষা বৃত্তি, প্রতিবন্ধী সন্তানদের মাসিক ভাতা, বিদেশগামী সকল কর্মীদের বীমা সুবিধা, আহত ও অসুস্থ কর্মীদের সহায়তা, এবং মৃত কর্মীর পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তা।
এছাড়া, এই মিটিংগুলোর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ওকাপ এর ফিল্ড অফিসার মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, ফিল্ড অর্গানাইজার মোহাম্মদ নকিবুল ইসলাম এবং আইএমও প্রতিনিধি মতিউর রহমান মিঠু। কমিউনিটি মবিলাইজার সারোয়ার জাহান সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন।