তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোর পৌরসভার এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রতিবেশীর দখলীয় সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। বিগত ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর সৈয়দ আহসান বাদি হয়ে কাউন্সিলর তাছির উদ্দিন, এরাজ উদ্দিন, মালেক ও নাসির গংদের বিবাদী করে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্ত্ত দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে এখানো অভিযোগের বিষয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এতে অবৈধ দখলদার গোষ্ঠি আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের সুমাসপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা জানান, পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাছির উদ্দিন ঘটক কথিত (ভুয়া) ভুমিহীনের নামে একটি ভুমিগ্রাসী গোষ্ঠিকে লেলিয়ে দিয়ে ওই সম্পত্তি জবরদখল করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমনকি যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বা খুন-জখমেের মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী সঙ্কিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,তানোর পৌরসভার সুমাসপুর মৌজায়, আরএস খতিয়ান নম্বর ৪৮,আরএস দাগ নম্বর ১৮,১৯,২০ ও ২০৭ জমির পরিমান ৫ দশমিক ২৫ একর।বিগত ১৯৬৪ সালে এসব সম্পত্তির বিনিময় করা হয় যাহার বিনিময় দলিল নম্বর ৫১৮ এবং ২০০১ সালে ক্রয় সুত্রে এসব সম্পত্তির মালিক হয় আফাজ উদ্দিন ও শামসুদ্দিন।এদিকে কারো কোনো আপত্তি ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে তারা শান্তিপুর্ণভাবে এসব সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছেন। অথচ ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর কাউন্সিলর তাছির উদ্দিন এসব সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ভুমিহীন নামে ভুমিগ্রাসী একটি গোষ্ঠিকে লেলিয়ে দেয় এবং তার মদদে এসব ভুমিগ্রাসী রাতারাতি সেখানে বাঁশ-কাঠের খুঁটি পুঁতে এসব সম্পত্তি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠে। এরা কোনো তথ্য-উপাত্ত ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াই কাউন্সিলর তাছিরের মদদে জোরপুর্বক দখল করতে চাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বয়োজৈষ্ঠ জানান, জমি কার সেটা জানি না, তবে খাস জমি দেবার কথা বলে এক কমিশনার আমাদের কাছে টাকা নিয়ে এসব জমিতে ঘর করতে বলেছে তাই আমরা ঘর করতে আসছি। তবে সচেতন মহলের ভাষ্য, প্রায় ২০ বছর শান্তিপুর্ণভাবে ভোগদখলীয় সম্পত্তি সরকারি খাস সম্পত্তি হয় কি ভাবে, এছাড়াও খাস সম্পত্তি নিতে চাইলেও তো কিছু নিয়মনীতি রয়েছে, রাতারাতি দখলের সুযোগ কোনো সুযোগ নাই। এবিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর তাছির উদ্দিন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব খাস সম্পত্তি তাই এলাকার কিছু ভুমিহীন পরিবার সেখানে বাড়ি নির্মাণ করেছে।