দিনাজপুর সংবাদদাতা : পিয়াজের প্রচুর চাহিদা ও দাম বাড়ায় নতুন করে ভারত থেকে পিয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। ফলে ইমপোর্ট পারমিশন (আইপি) পেয়েছে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম কমেছে ১৫ থেকে ১৭ টাকা। আর পাইকারি বাজারে দাম কমেছে ৮ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দ্রুতই পিয়াজের দাম আরও কমে আসবে।
আমদানির অনুমতির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২৯ এপ্রিল পিয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। একমাস বন্ধ থাকার পর আমদানির অনুমতি পাওয়ায় আবারও ভারত থেকে পিয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। ভারত থেকে পিয়াজ আমদানি শুরুর সাথে সাথে দাম কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহ আগে যে পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে। এখন সেই পিয়াজই প্রকারভেদে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩১ টাকা কেজি দরে। এদিকে দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। যে পিয়াজ পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে ৩৭ থেকে ৩৮ টাকা কেজি দরে তা বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে।
হিলি বাজারের পাইকারি পিয়াজ ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, ভারত থেকে পিয়াজ আমদানি হওয়াতে দাম কমেছে। আমরা আমদানিকারকদের কাছে থেকে পাইকারি ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে কিনে ৩০ থেকে ৩১ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
বর্তমানে হিলি দিয়ে ২০০ থেকে ২৫০ ডলারে পিয়াজ আমদানি হচ্ছে। কাস্টমস এ্যাসেসমেন্ট করছে ৩০০ ডলারে। আর প্রতি কেজিতে ডিউডি দিতে হচ্ছে ১.৩০ টাকা। হিলি কাস্টমস বলছে, গত ২ কর্মদিবসে ১৩টি ভারতীয় ট্রাকে ৩০৮ টন পিয়াজ আমদানি হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপ সভাপতি, হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, আসন্ন কোরবানি ঈদে যথেষ্ট পরিমাণ পিয়াজের চাহিদা রয়েছে। এখন থেকেই বাজারে পিয়াজের চাহিদা বেড়েছে। প্রচুর পরিমাণে পিয়াজ আমদানি করা হবে। তাতে ভোক্তা সাধারণ স্বল্পমূল্যে পিয়াজ কিনতে পারবে।