পটুয়াখালী, গলাচিপা সংবাদদাতা : পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলায় মারামারিকে কেন্দ্র করে সালিশ বৈঠকে বেরিয়ে এলো চাচাতো বোনের সাথে গোপন প্রেম কাহিনী। বার বার প্রেমিকার বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার আসল উদ্দেশ্য বের হওয়াতে সমাধানের পথ বন্ধ হয়ে যায়। সরজমিন ও মামলা সূত্রে জানা যায় ডাকুয়া ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডে বিবাহ ভেঙ্গে দেয়াকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। আহত আবুল বশার মীর গলাচিপা থানায় ২ ডিসেম্বর অভিযোগ করেন যাহার মামলা নম্বর ০৪/২০। মামলার আলোকে স্থানীয় গণ্যমান্য, সমাজ কর্মী ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গন বিরোধের সমাধান করতে সালিশ বৈঠকে বসেন। ঐ বৈঠকে উভয় পক্ষই জনসম্মুখে বিরোধের বিষয় নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন। মারামারি মামলার আসামী মোঃশামিম এর বোনের সাথে বাদী আবুল বসার মীর বিয়ের প্রলোভনে দেখিয়ে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্কের কারেন অন্যত্রে বিয়ের প্রস্তাব আসলে ভেঙে দেওয়া হত বলে জানা জায়। এ কারনে আসামী শামীম বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার কথা জানতে চাইলে কথার কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে এবং মামলা করে আবুল বসার। আরো জানা গেছে অসহায় প্রেমিকা গলাচিপা থানায় অভিযোগ করলে থানা পুলিশ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে একই বাড়ির মৃত খোরশেদ মীর এর ছেলে আবুল বসারকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এ বিষয়ে প্রেমিকার বড় ভাই মোঃশামীম মীর জানান” আমার ছোট বোনের সাথে পাশের ঘরের আত্মীয় আবুল বসার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্ক তৈরি করে। কিছু দিন পূর্বে গোপনে অন্যত্রে বিয়ে করেছে। বোনের বিয়ের জন্য একাধিক প্রস্তাব আসলে বিভিন্ন কৌশলে ভেঙে দিত। বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার কথা জানতে চাইলে কথার কাটাকাটি হয় এবং মামলা করে। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সমাধান করতে গিয়ে ব্যার্থ হয়েছে। বোনের গোপন সম্পর্কের কথা সন্মান ও ভবিষ্যৎ চিন্তা করে বাড়ির মধ্যে রাখতে চেষ্টা করি। কিন্তু ওদের অন্যায় অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে অভিযোগ করতে সন্মত হয়েছি”।সংশ্লিষ্ট সংরক্ষীত মহিলা ইউ পি সদস্য বলেন ” মারামারি ঘটনার সমাধান করতে গিয়ে প্রেম সংক্রান্ত তথ্য শারীরিক সম্পর্কের সত্যতা পাওয়ায় সমাধানের পথ বন্ধ হয়ে যায়। এ ধরনের ঘটনার সঠিক তথ্য উদঘাটন করে কঠোর বিচার করা দরকার”।