চট্টগ্রাম সংবাদদাতা : কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শামীম এর প্রতারনা ও যৌন লালসার স্বীকার ৩ সন্তানের জননী ৪৪বছর বয়সী মাহমুদা এর স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা কাঠালিয়া থানায় যে অভিযোগ করেন তা হুবাহু তুলে ধরা হলো। অনুমান ২০ থেকে ২২ বছর পূর্বে মোসা: শারমিন নাহার মাহমুদা (৪৪) পিতাঃ মোঃ আশরাফ আলী হাওলাদার মাতা মোসা: সাফিয়া বেগম গ্রাম গরিয়াবুনিয়া ডাকঘর:গরিয়াবুনিয়া হাট, উপজেলা :বেতাগী , জেলা: বরগুনা, উক্ত শারমিন নাহার মাহমুদার সাথে ইসলামিক শরিয়া মতে বিবাহ হয়। বিবাহের পর হইতে
দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা শান্তিতে সংসার করে আসছিলাম। আমার সংসারে ৩টি সন্তান রয়েছে। আমার স্ত্রী মোবাইল ফোন ও ফেসবুকের মাধ্যমে পরকীয়া প্রেম আসক্ত হয় গোলাম কিবরিয়া শামীমের সাথে।অভিযোগকারী বলেন তিনি খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।অভিযোগকারী জানতে পারেন যার সাথে পরকীয়া করে তার বাড়ি থেকে পালিয়েছেন তিনি হলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শামীমের সাথে। এবিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী  যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তা হুবহু তুলে ধরা হলো: আমার স্ত্রী মোসা: শারমিন নাহার মাহমুদার সাথে আমি দীর্ঘ ২২ বছর সংসার জীবনে এক ছেলে দুই মেয়ের পিতা মাতা। আমার ছেলে অনার্স পড়ুয়া আমার এক মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ছে এবং আমার অন্য মেয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যায়নরত। আমার স্ত্রীর সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী  যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক প্রতারক গোলাম কিবরিয়া শামীমের পরকিয়া প্রায় পাঁচ বছর। বিষয়টি অবগত হওয়ার পর বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগ, বরগুনা সদর ও বেতাগী উপজেলা আওয়ামীলীগ, বরগুনা জেলা যুবলীগ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র হালদার সহ অনেক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অবগত করি এবং আমার নিজ থানায় জিডি করি। প্রতারক গোলাম কিবরিয়া শামীম পরকীয়া প্রেমের মাধ্যমে আমার স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে প্রলোভনের  মাধ্যমে আমার  বাড়ি থেকে নিয়ে এসে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার অবৈধভাবে বিবাহবহির্ভূতভাবে বসবাস করে। বারবার বাসা পরিবর্তনের কারণে আমি শত চেষ্টা করেও প্রতারক গোলাম কিবরিয়া শামীম ও আমার স্ত্রীর ঠিকানা নিশ্চিত হতে পারিনি। সর্বশেষ একটি বাসার ঠিকানা নিশ্চিত হলেও পরেরদিন গিয়ে দেখি কয়েকদিন আগে হাসপাতাল আল রাজি বাসার পিছন থেকে পালিয়েছে কয়েক মাসের বাসা ভাড়া না দিয়েই চলে গেছে। আমার স্ত্রীর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানকে নিয়ে ঐ বাসায় গিয়েছিলাম। আমার স্ত্রীকে খোঁজাখুঁজির একটাই কারণ আমার সন্তানদের চোখের পানি ও আবেগ আমি আর সহ্য করতে পারছি না এবং সাথে তারা স্কুল-কলেজে এবং এলাকায় খুবই লজ্জিত তার কারণে আমার স্ত্রীকে আমি খুঁজছি। বর্তমানে আমার ছেলে মেয়ে আমার কাছে । আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে কিন্তু  দুঃখজনক বিষয় আমার স্ত্রীকে প্রতিমাসে ঢাকায় এনে বিভিন্ন হোটেলে রেখে রাত কাটায়। আমার স্ত্রীকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারক গোলাম কিবরিয়া শামীম গুলশানে ২.৫ কাঠা জমি কিনে বাড়ি করে দিবেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রতারক গোলাম কিবরিয়া শামীম নিজেই অর্থসংকটে আছে।ঢাকার বিভিন্ন ম্যাচে বসবাস করে। এমতবস্থায় আমি মানসিক, সামাজিকভাবে তিন সন্তান নিয়ে চরম অসহায় জীবন যাপন করছি। গোলাম কিবরিয়া শামিম আমার স্ত্রীর মাধ্যমে আমার নগদ অর্থ স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করে আমাকে পথে বসিয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নাম ব্যবহার করে প্রতারক গোলাম কিবরিয়া শামীম সরাসরি ও বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে ক্রমাগতভাবে। প্রতারক গোলাম কিবরিয়া শামীম বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের পদ ব্যবহার করে এর ফলে আমি কোথায়ও ন্যায়বিচার পাচ্ছি না।
এবিষয়ে জানতে গেলে বরগুনা, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর স্থানীয় একাধিক নেতার সাথে কথা হয় তারা জানান, প্রতারক গোলাম কিবরিয়া শামীম অনেককে জেলায় পদে দিবে বলে টাকা পয়সা নিয়েছেন। বিবাহিত নারীদের ঢাকায় নিয়ে এসে চাকরি দিবে বলে তাদের বিভিন্ন হোটেলে রাখা হয়। পরবর্তীতে নিঃস্ব করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সর্বশেষে মহিলার স্বামীকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান আশ্বস্ত করেন যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তাকে বহিষ্কার করা হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুবলীগ একটি আদর্শ বহন করে এই আদর্শের পরিপন্থী কেউ কাজ করলে তাকে এই দলে জায়গা নাই।
এবিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, প্রতারক  গোলাম কিবরিয়া শামীমের কারণে আমার সোনার সাজানো  সংসারটি তছনছ হয়ে গেল। আজ আমার সন্তানরা পথে। সন্তানদের কি উত্তর দিব বুঝতে পারছি না। এবিষয়ে প্রতারক গোলাম কিবরিয়া শামীমের পরিবারের কাছে গিয়েছিলাম তার বোন সরকারি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা এবং তার ভাই কাছে গিয়েছিলাম তারা প্রতারক শামীমের অনেক বকাঝকা করেছে আমার সামনেই কিন্তু তারপরও কোনো কাজ হচ্ছেনা। আমার স্ত্রীর মতো আরও অনেক নারীর সাথে এমনই অবস্থা করেছেন প্রতারক গোলাম কিবরিয়া শামীম।