বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ অপরাহ্ন

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় তরুণীকে ব্ল্যাকমেইল করে ২ বছর ধর্ষণ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৩০৬ বার পঠিত
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় তরুণীকে ব্ল্যাকমেইল করে ২ বছর ধর্ষণ
ফটো সংগৃহীত

পাবনা সংবাদদাতা : পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রেমিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে সেই ভিডিও দেখিয়ে টানা দুই বছর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত ওই যুবক উপজেলার গজারমারা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে বুলবুল আহমেদ বিপুল (৩০)।

আর মেয়েটির বাড়ি পার্শ্ববর্তী জেলা সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়। বিয়ের দাবিতে ওই তরুণী গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে বিপুলের বাড়িতে অবস্থান করছেন। তবে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে বিপুলের বাড়ির লোকজন মারধর করে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

সরেজমিন গিয়ে ভুক্তভোগী ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে বিপুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এর পর তাদের মধ্যে প্রেম হয়। এর কিছু দিন পর বিপুল তাকে দেখা করার জন্য চাপ দিলে মেয়েটি তার সঙ্গে দেখা করে।

ওই সময় বিপুল তার বোনের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মেয়েটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে এবং কৌশলে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন।

পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে অন্তত ২৫ বার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ তরুণীর।

একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করতে বাধ্য করেন বিপুল। এর পর তিনি বিপুলকে বিয়ের জন্য চাপ দেন।

কিন্তু বিপুল বিষয়টি এড়িয়ে যেতে শুরু করেন। পরে ২৮ ডিসেম্বর বিয়ের দাবিতে বিপুলের বাড়িতে উপস্থিত হন মেয়েটি।

বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান আফসার আলী জানতে পেরে মেয়েটির নিরাপত্তায় একজন গ্রামপুলিশ নিয়োজিত করেন।

গ্রামপুলিশের পাহারায় গত দুদিন সেখানে থাকলেও শুক্রবার সকালে ওই তরুণীকে বিপুলের পরিবারের লোকজন মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিপুলের বাবা ইসমাইল হোসেন জানান, উচ্চমহলের নির্দেশেই তিনি ওই মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন।

ঘটনা শুনে চেয়ারম্যান আফসার আলী সেখানে যান এবং বিপুলের বাবাকে তার ছেলেকে হাজির করতে চাপ দেন।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আফসার আলী বলেন, শুধু প্রেমের সম্পর্কের কারণে সম্মান বিসর্জন দিয়ে সাধারণত কোনো মেয়ে অন্যের বাড়িতে চলে আসতে পারে না। মেয়ের অভিযোগ— তাকে ভিডিও দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে, আমিও সেটি বিশ্বাস করি। বিপুলকে হাজির করতে বলা হয়েছে। মেয়ের পরিবারকে সংবাদ পাঠানো হয়েছে। তারা এলে বিয়ে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিপুলের মোবাইলে ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ভাঙ্গুড়া থানার ওসি ফয়সাল বিন আহসান বলেন, বিষয়টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে অবগত হয়েছি। শুনেছি বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখানের বিট কর্মকর্তাকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com