বিডি ঢাকা ডট কম নিউজঃ রাজশাহী মহানগরীতে সরকারি বাড়ী পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করে স্বর্ণ, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক প্রতারককে প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় আসামীর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা ভ্যানিটি ব্যাগসহ নগদ ৭ হাজার টাকা ও বিভিন্ন অলংকারাদী উদ্ধার হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে বাঘা থানা পুলিশের সহযোগীতায় একই থানার চকছাতারী গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রতারক ফিরোজকে গ্রেফতার করে রাজপাড়া থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত হলো মোঃ কুদ্দুস ওরফে ফিরোজ (৪৩)। সে রাজশাহী জেলার বাঘা থানার চকছাতারী গ্রামের মোঃ আব্দুলল কাশেম মিয়ার ছেলে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সদর), গোলাম রুহুল কুদ্দুস।
তিনি জানান, গত (৩১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার গোদাগাড়ী থানার মোসাঃ নূর জাহান বেগমের বাড়ীতে গিয়ে নিজেকে রাজশাহী ডিসি অফিসের পিওন বলে পরিচয় দেয় ফিরোজ। সে নূর জাহানকে জানায় তাকে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সরকারি বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হবে। এজন্য তাকে রাজশাহী জর্জকোর্টে যেতে হবে।
প্রতারক ফিরোজের কথা মত নূর জাহান বেগম ও তার মেয়ে রাজশাহী জর্জকোর্টে আসলে ফিরোজ তাদের বলে, তোমাদের গয়না ও মোবাইল গুলো একটা ব্যাগের মধ্যে রেখে দাও। এগুলো দেখলে বাড়ী বরাদ্দ দিবে না। ফিরোজের কথামত নূর জাহান বেগম ও তার মেয়ে তাদের বিভিন্ন অংলাকার, দুইটি মোবাইল ফোন ও নগদ সাড়ে ৭ হাজার টাকা ভ্যানিটি ব্যাগে রেখে দেয়। এরপর ফিরোজ তাদের বলে, বাড়ীর জন্য একটি ব্যাংক একাউন্ট করতে হবে এ জন্য তাদের কোর্ট বিল্ডিং এর ৩য় তলায় যেতে বলে। ফিরোজ ব্যাগটি তার কাছে রেখে যেতে বলে। তারা সরল বিশ্বাসে ব্যাগটি ফিরোজের কাছে রেখে বিল্ডিং এর ৩য় তলায় যায়। সেই সুযোগে ফিরোজ তাদের ভ্যানেটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। নূর জাহান বেগমের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
মামলা রুজুর পর রাজপাড়া থানা পুলিশের একটি বিশেষ দল প্রতারকের নাম ঠিকানা সনাক্তপূর্বক গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) রাতে আরএমপি সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহকারি পুলিশ কমিশনার উৎপল কুমার চৌধুরী পিপিএম ও তাঁর দলের দেয়া তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘা থানার চকছাতারী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ফিরোজের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা ভ্যানিটি ব্যাগসহ নগদ ৭ হাজার টাকা ও বিভিন্ন অলংকার উদ্ধার হয়।
অভিযানটি পরিচালনা করেন, রাজপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই কাজল কুমার নন্দী ও সঙ্গীয় ফোর্স। সহযোগীতায় ছিলেন বাঘা থানা পুলিশের একটি দল।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান নগর পুলিশের মূখপাত্র।