সাতক্ষীরা সংবাদদাতা : প্রাইভেটকারে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে মানুষের কাছ থেকে কৌশলে টাকা আদায়কালে পাঁচ প্রতারককে আটক করেছে সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটককৃতরা নিজেদেরকে ভারতের মুকেশ আম্বানীর কোম্পানির লোক বলে পরিচয় দিতেন বলে জানা গেছে। এছাড়া ভেজাল কোমল পানীয় তৈরি করে বিক্রির সময় আটক হয়েছে আরও দুই প্রতারক।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-খুলনার পাইকগাছা থানার কাটিপাড়া গ্রামের আশরাফুল গাজী ওরফে এডি পাশা (ভারতীয় নাগরিক পরিচয়দানকারী), সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আবু সাঈদ, গোপালপুরের নির্মল সরকার, পাইকগাছার গদাইপুর ইউপি সদস্য হাকিম গাজী ও চরমুলই গ্রামের আজিবর রহমান। এ সময় পালিয়ে যায় আলাউদ্দিন, জাহাঙ্গীর, আসলাম সরদার ও মো. শাহীন। এছাড়া ভেজাল কোমল পানীয় বিক্রিকালে আটক হন আজিজুল হক রাজু ও আল ইমরান।
সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াসিন আলী চৌধুরী জানান, দুটি পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। ১০ লাখ টাকা দিলে তার বিনিময়ে ৭ কোটি টাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলে কয়েক দফায় প্রতারক চক্রটি আবুল ফয়েজ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে এই টাকা আদায় করে। তাদের কাছে মূল্যবান সীমানা পিলার ও তক্ষক সাপ রয়েছে। ভারতীয় কর্মকর্তা এডি পাশাকে বস হিসেবে পরিচয় দিয়ে তারা ফয়েজের কাছ থেকে দফায় দফায় টাকা আদায় করে আসছিল।
ওসি জানান, আজ সোমবার সকালে একইভাবে শহরের পলাশপোল এলাকার ‘কোলকাতা শপিং কমপ্লেক্সে’র তৃতীয় তলায় এমন প্রতারণা করে আরও টাকা লেনদেনের সময় হাতেনাতে পাঁচজন প্রতারককে আটক করে ডিবি পুলিশ। এ সময পালিয়ে গেছে আরও চারজন। তাদের কাছ থেকে পুলিশ স্টিকার লাগানো একটি প্রাইভেটকার, কয়েকটি ভুয়া ভারতীয় ভিজিটিং কার্ড ও অন্যান্য জিনিসপত্র আটক করা হয়েছে।
ইয়াসিন আলী চৌধুরী আরও জানান, পুলিশের স্টিকারযুক্ত গাড়িতে প্রতারণা করতেন তারা। অপরদিকে ভেজাল কয়েক বস্তা পানীয়ের বোতলও আটক করা হয়েছে।