ফয়সাল আজম অপু :কক্সবাজারের উখিয়ায় সিসিটিভির ফুটেজ নিয়ে বৈঠকে হামলায় আওয়ামীগ পরিবারের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। ১৫ মে (শনিবার) রাত ১১টার দিকে উখিয়া সদরের সিকদার বিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উখিয়া উপজেলা কক্সলাইন মালিক সমিতির সভাপতি নুর মোহাম্মদ বাদশার পারিবারিক সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ ও নজরদারীর জন্য বাড়ির আঙ্গিনায় সিসিটিভি বসানো হয়। সিসিটিভি সড়কের পাশে হওয়ায় এলাকার কিছু উশৃঙ্খল যুবকের অপরাধ কর্মকান্ড ও মাদক কারবারের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যার কারণে তাদের অপরাধ কর্মকান্ডের কিছু ফুটেজ সিসিটিভিতে চলে আসে। এর জন্য তারা সিসিটিভির বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে সিসিটিভি সরাতে বাড়ি মালিককে জানায়। কিন্তু বাড়ির মালিক তা সরাতে অপারগতা প্রকাশ করায় অপরাধীরা আরও বেশী ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি দিয়ে আসে। যার ফলে বাড়ির মালিক নিজ নিরাপত্তার জন্য থানায় জিডি করে। এদিকে, থানায় জিডির বিষয়টি উক্ত এলাকার নুরুল বশর ভূইয়া বিষয়টি জানলে মিমাংসার জন্য উভয়পক্ষকে ডেকে আনেন। কিন্তু নুরুল বশর ভূইয়ার কথা বিশ্বাস করে বাদশা এবং তার পরিবারের লোকজন বৈঠকে বসলে অপরপক্ষের নুরুল বশর ভূঁইয়াসহ অত্র এলাকার মােহাম্মদ আলী, ইমরান আবছার আকাশ, নুরুল হুদা মিন্টু, মােঃ সােহাগ প্রঃ টিপু, নুরুল মাসুদ ভূঁইয়া, মিজানুর রহমান, মােঃ সাইফুল, মােঃ দেলােয়ার, মােঃ ইসমাইল, সুজন, মােস্তফা কামাল, ইউছুফ মােঃ শাকিল, নুর কামাল, মােঃ আরফাতরা মিলে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে অস্ত্রসহ অপরপক্ষের লোকজন বেশী আত্মরক্ষার জন্য বাদশাহর পরিবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এতে বাদশাহ সহ তার পরিবারের ৯ জন গুরুতর আহত হয়। অন্যদিকে, অপরপক্ষ তাদের উপর হামলা চালানোর পরেও শান্ত না হয়ে রাস্তার পাশে রাখা বাদশার মালিকানাধীন গাড়ি ভাঙচুর করে। আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষনিক উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। এ ঘটনায় সী-লাইন সভাপতি বাদশাহ বাদী হয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ সনজুর মোর্শেদ বলেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে উক্ত ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবেনা।