শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫০ অপরাহ্ন

ভবানীগঞ্জ পৌর মেয়র মালেক তৃতীয় বিয়ে করে ফের আলোচনায়

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৬০ বার পঠিত

রাজশাহী সংবাদদাতা :নিজের বয়সের থেকে প্রায় তিনগুণ কম বয়সী কনেকে বিয়ে করেছেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই বিয়ের খবরটি নিজেই পোস্ট করেছেন। সস্ত্রীক ছবিসহ ওই পোস্ট দিয়ে রাজশাহীজুড়ে ফেসবুকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন মেয়র আব্দুল মালেক। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় তার বিয়ের ছবি।

স্থানীয়রা জানান, ইসলামী শরীয়াহ ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তিন লাখ টাকা দেনমোহরানার মাধ্যমে বিয়েটি সম্পন্ন করেছেন তিনি।

মেয়র আবদুল মালেক ভবানীগঞ্জ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। গত নির্বাচনে তিনি দ্বিতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন।

কনে নুপুর আক্তার (১৯) বাগমারা উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের লাউপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মোনাফের মেয়ে। এর আগেও তার একবার বিয়ে হয়েছিল বলে জানা গেছে। মেয়র আব্দুল মালেকও বিবাহিত। তার ঘরেও আগে থেকেই রয়েছে দুটি স্ত্রী। বিয়েতে মেয়রের সহোদর, কাউন্সিলর, আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এটি মেয়রের তৃতীয় বিয়ে।

নিজের ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাসে ভবানিগঞ্জ মেয়র লেখেন, ‘পুরাতন সব কিছু বাদ দিয়ে তৃতীয় বিয়ে সম্পন্ন করলাম। সবার কাছে দোয়া কামনা করছি। যেন আমি ও আমার নতুন জীবন সঙ্গী সুখে থাকতে পারি।’

তার এই স্ট্যাটাসে সরব হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। রাজশাহীজুড়ে সবার কাছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন তিনি।

তৃতীয় বিয়ে নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন পৌর মেয়র মালেক। সম্প্রতি সুস্থ হয়ে তৃতীয়বারের মতো বিয়ের আসরে বসেন তিনি।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১৫ এপ্রিল পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রথম স্ত্রী কহিনুর বেগম ও পুত্র কামরুলের হাতে মারধরের শিকার হন মেয়র আব্দুল মালেক। আহতাবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনও ছিলেন কিছুদিন।

সুস্থ হওয়ার পর ৪০ বছর ধরে সংসার করে আসা প্রথম স্ত্রী কহিনুর বেগমকে ডিভোর্স দেন তিনি। কোহিনুর বেগম বর্তমানে তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। হাসপাতাল থেকে ফিরেই শুক্রবার সন্ধ্যায় নুপুর আক্তারকে নিজের তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেছেন পৌর মেয়র মালেক।

মেয়রের তৃতীয় বিয়ে ও প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার বিষয়টি এলাকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

এর আগে তিনি এক নাবালিকাকে বিয়ে করে সমালোচনার মুখে পড়েন। পরে পরিবারের চাপে তিনি ওই নাবালিকাকে তালাক দিয়ে বিষয়টি সমাধান করে নেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..

© All rights reserved © 2009-2022 bddhaka.com  # গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত # এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Theme Developed BY ThemesBazar.Com