নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর পদ্মাপাড়ের উন্নয়ন ও সৌন্দর্য্যবর্ধনে ব্যাপক কাজ করছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নানাবিধ উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পদ্মাপাড়ের উন্নয়ন কাজ পরির্দশন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। মন্নুজান স্কুল থেকে বড়কুটি হয়ে লালনশাহ পার্ক পর্যন্ত হেটে পদ্মাপাড়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ পরির্দশন করেন এবং বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন সিটি মেয়র।
সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, পদ্মাপাড় রাজশাহী মহানগরীর অন্যতম উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র। পদ্মাপাড় সংলগ্ন দরগাপাড়ায় অবস্থিত হযরত শাহমখদুম রূপোষ (রহ:) মাজার শরীফ। পদ্মাপাড়ে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে লালনশাহ পার্ক। শাহমখদুম রূপোষ (রহ:) মাজার শরীফ ও পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য্য দেখতে প্রতিদিন ছুটে আছেন দেশ-বিদেশের অসংখ্য দর্শনার্থী। নগরবাসীর বিনোদনের জন্য নগরীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্রকে আরো আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করতে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। বর্তমানে ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান আছে। কাজের আওতায় বাউন্ডারি ওয়াল, সৌন্দর্য্যবর্ধক গ্রিলদ্বারা বেষ্টিত রেলিং, ওয়াকওয়ে, দর্শনার্থীদের বসার বেঞ্চ, ক্যাফেটেরিয়া সংস্কার করা হচ্ছে। লালনশাহ বাঁধ সংলগ্ন রাস্তাটি প্রশস্তকরণসহ ফুটপাত নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পদ্মা গার্ডেন সংলগ্ন ব্রিজ হতে শাহ মখদুম রূপোষ মাজার সংলগ্ন ব্রিজ পর্যন্ত ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে হযরত শাহ মখদুম (রহ.) মাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি ও পদ্মা গার্ডেন সংলগ্ন এলাকায় আরেকটি ঝুলন্ত ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ৯৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন ওভার ব্রিজ দু’টি ২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। ব্রিজের সৌন্দর্যবর্ধনে করা হয়েছে নান্দনিক গ্রাফিটি। রং আর তুলির আঁচড়ে ওভারব্রিজ দু’টিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নান্দনিকভাবে। পদ্মাপাড়ে আকর্ষণ বাড়াতে ইতোমধ্যে যুক্ত হয়েছে ২টি বিচ বাইক ও ১০টি বিচ চেয়ার। যা নগরবাসীর মধ্যে ইতোমধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছে। এছাড়া পদ্মা গার্ডেন থেকে লালনশাহ পার্ক পর্যন্ত পদ্মাপাড়ের ওয়াকওয়েতে ৪০টি পোলে এলইডি লাইট লাগানো হয়েছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এলইডি বাতিগুলো অটোলজিক কন্ট্রোলারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন-অফ হয়। আলোকায়নের কারণে রাতেও স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারছেন দর্শনার্থীরা।গত ২৫ ডিসেম্বর বিচ বাইক ও বিচ চেয়ারগুলো এবং ওয়াকওয়ে আলোকায়নের উদ্বোধন করেন রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। এরআগে ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন পদ্মাপাড়ের ব্যাপক উন্নয়ন করেন।
পরিদর্শনকালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টু ও আসাদুজ্জামান আজাদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল আলম জাহিদ, বোয়ালিয়া (পূর্ব) আওয়ামী লীগের থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম ও সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ, সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশলীদের মধ্যে সহকারী প্রকৌশলী অনন্য ইসলাম নির্ঝর, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মোকাম্মেল আলী পপি, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মীর শাহরিয়ার সুলতান পরাগ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফররুখ আহমেদ শিশির, সহকারী আর্কিটেক জহুরুল ইসলাম অনন্ত ও গৌরব দে প্রমুখ।