আলিফ হোসেন,তানোর : রাজশাহী-১ আসনের রাজনৈতিক অঙ্গনে মোস্তাক প্রেতাত্বের আর্বিভাব ঘটেছে এতে আওয়ামী লীগের তৃণমুলে চরম অসন্তোষ, আর্তনাদ এবং হৃদয়ে হচ্ছে রক্তক্ষরণ দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। আদর্শিক দাবিদার একশ্রেণীর মতলববাজ নেতার আদর্শহীন কর্মকান্ডে তৃণমুলে যএসব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃস্টি হয়েছে। আবার শহীদ পরিবারের সন্তান এমপি ফারুক চৌধুরীকে এরা কখানো রাজাকার পুত্র, আওয়ামী লীগের চেতনাবিরোধী ইত্যাদি বলে সমালোচনা করছে। কিন্ত্ত কেন-? এমপি কখানো কি কারো জমি দখল বা কারো নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে, কখানো কি অর্থের বিনিময়ে পদ বাণিজ্যে বা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, এমপির সঙ্গে থেকে কোনো নেতাকর্মী কি দেউলিয়া হয়েছে এসব কিছুই হয়নি তাহলে তিনি চেতনাবিরোধী হলেন কি বিবেচনায়-? তাদের কথায় যদি ফারুক চৌধুরীকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়া হয় তাহলে ক্ষতি কার ? লাভ কার ? দেশের প্রথম শ্রেণীর শিল্পপতিদের একজন তিনি তার তো কোনো ক্ষতি নাই, তবে ক্ষতি হবে দলের তৃণমুলের হাজার হাজার মুজিবভক্ত নেতাকর্মীর। তাহলে যেখানে ফারুক চৌধুরীর কোনো ক্ষতি হবার সম্ভবনা নাই, সেখানে তার বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করছে আসলে তারা কি চাই, ফারুক চৌধুরী তো নেতা নই তিনি দলের কাছে একটা সম্পদ। কারণ অন্যরা রাজনীতি করে যেখানে পৌচ্ছাতে চাই তিনি সেখান থেকে রাজনীতি শুরু করেছেন রাজনীতি থেকে তার নেবার কিছু নাই, তবে দেবার মতো অনেক কিছু রয়েছে। অথচ এমপির ছায়ায় থেকে যারা টাকার কুমির এখন তারাই এমপির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে অপপ্রচার করছে। কিন্ত্ত কেনো তারা কি একটি উদাহারণ দিতে পারবেন রাব্বানী-মামুনের সঙ্গে থেকে কোনো নেতাকর্মী উপকৃত হয়েছে বা দলের সাংগঠনিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তানোর-গোদাগাড়ী নিয়ে রাজশাহী-১ আসন যেখানে প্রায় দ্বিগুন আয়তন ও জনসংখ্যা নিয়ে গোদাগাড়ী উপপজেলা সেখানে এমপির নেতৃত্বে এখানো আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ বিপরীতে যতো সমস্যা তানোর। আওয়ামী লীগ দেশের সব চাইতে জনপ্রিয় প্রাচীণ, ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল তায় কারো আওয়ামী লীগ নিয়ে ছিনিমিনি করার কোনো সুযোগ নাই। যেখানে ড, কামাল হোসেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, লতিফ সিদ্দিকীর মতো প্রভাবশালীরা আওয়ামী লীগ ছেড়ে হারিয়ে গেছে। সেখানে তানোরের হাতেগোণা বিতর্কিতারা কিভাবে ছিনিমিনি করতে পারে-? কারা এদের মদদদাতা ইত্যাদি প্রশ্নে তৃণমুল বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। এদিকে তৃণমুল একশ্রেণীর চিহ্নিত রাজনৈতিক বেঈমানদের ছাঁটাই করে আদর্শিক নেতৃত্বের মাধ্যমে কমিটি গঠনের দাবি করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতির কাছে আকুল আবেদন করেছেন। স্থানীয় সুত্র জানায়, স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারক চোধুরীর অবৈধ অর্থলিস্পা না থাকায় দলের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা একটিচক্র এমপির বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। সুত্র জানায়, বিগত দিনে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন তাদের অনুগতদের এমপির বিরুদ্ধে দলের সভাপতির কাছে লিখিক অভিযোগ করে প্রমাণে ব্যর্থ হয়।এছাড়াও রাজশাহী জেলা বিএনপির সম্পাদক ও মুন্ডুমালা পৌর মেয়র (তৎকালীন) প্রয়াত শীষ মোহাম্মদের হাতে হাত রেখে তারা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে মুন্ডুমালা কলেজ চত্ত্বর শহীদ মিনারে শপথ নেয় ফারুক চৌধুরীকে রাজনীতি থেকে শরিয়ে দেবার। অথচ এমপি তাদের এতো বড় অপরাধ ক্ষমা করে তাদের উপরেই সভাপতি-সম্পাদকের দায়িত্ব রেখে গোলাম রাব্বানীকে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়।কিন্ত্ত সম্পাদক মামুন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে রাব্বানীর পরাজয় নিশ্চিত করে, একই বছরে তানোর পৌর নির্বাচনে পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদিপ সরকারকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়,কিন্ত্ত সভাপতি ইমরুল হক বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে প্রদিপের পরাজয় নিশ্চিত করে। এছাড়াও জাতীয় সংসদ, জেলা পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা, পাঁচন্দর ও কলমা ইউপি নির্বাচনে রাব্বানী-মামুন তাদের অনুগতদের নিয়ে প্রকাশ্যে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ভোটের মাঠে কাজ করেছে। এমনকি সদ্য সমাপ্ত পৌরসভা নির্বাচনে এরা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়ে নৌকার পরাজয় নিশ্চিত করে এবং বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থীকে সংবর্ধনা দিয়ে একই মঞ্চে দলে যোগদান করানো হচ্ছে, কাউকে দলে যোগদান করানোর তারা কে-? তারা-? ইচ্ছে করলেই কি কাউকে দলে যোগদান করাতে পারে-? স্থানীয়রা বলছে, তানোরের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশ্বাসঘাতক খুনি মোস্তাক গং আদলে বেঈমান চক্রের আবির্ভাব ঘটেছে। জানা গেছে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাতে বাঙ্গালী জাতির জনক ও মহান স্বাধীনতার স্থপত্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে বেঈমান ও বিশ্বাসঘাতক খন্দকার মোস্তাকের দোসররা। ফলে ১৫ আগস্ট বাঙালী জাতির জীবনে কলঙ্কময় অধ্যায়। আবার সেই একই বিশ্বাসঘাতক চক্র এক্সটেনশান হয়ে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কালোরাতে জেলখানায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মধ্যদিয়ে জেল হত্যাকান্ড ঘটিয়ে জাতীর জীবনে চাপিয়ে দেয় আরেক কলঙ্কময় অধ্যায়। এদিকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, এই দিনে আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কে হারিয়েছি- ৩ নভেম্বর জাতীয় জেল হত্যা দিবস এই দিনে আমরা জাতীয় চার নেতাকে হারিয়েছি। প্রশ্ন কাদের জন্য ? যারা দল, নেতা এবং নেতৃত্বের সঙ্গে বেঈমানী ও বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তাদের জন্য। তাদের ভাষ্য ,২০২০ সালে এসে রাজশাহী-১ আসনের রাজনৈতিক অঙ্গনে ১৯৭৫ সালের খন্দকার মোস্তাক গং আদলে বেঈমান-বিশ্বাসঘাতক (দুস্টু) চক্রের আর্বিভাব ঘটেছে। রাজনৈতিক আদর্শ, নীতিনৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে নিজের স্বার্থে সংগঠন নষ্ট করে যারা ক্ষমতার স্বাদ বা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে লুটপাট করে টাকার কুমির হতে চাই এরা কারা। মোস্তাক গংয়ের উদ্দেশ্যে ছিল বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা, এদের উদ্দেশ্যে এমপি ফারুক চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগকে দুর্বল করে পদবাণিজ্যসহ লুটপাট করা। যারা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে দেশের মানুষের ক্ষতি করেছিল তারা ছিল তাদের কাছের মানুষ, যারা এমপির ক্ষতি করতে চাই তারাও এমপির কাছের মানুষ,পার্থক্য শুধু বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা ওইসব কুলাঙ্গারদের ষড়যন্ত্র বুঝতে পারেনি, তবে এমপি ফারুক চৌধুরী এসব কুলাঙ্গারদের ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে রামায়ণী চাঁটি দিয়ে বিতাড়িত করেছে।