আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) সংবাদদাতা : প্রেমিক ভাঙ্গা পা নিয়ে আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকের কেবিনে শুয়ে। অসুস্থ্য প্রেমিককে দেখতে এসে হাসপাতালের কেবিনেই বিয়ে এবং বিয়ের পর হাসপাতালের কেবিনেই হলো বাসর। বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দিনগত গভীর রাতে এ বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।জানা যায়, সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার চরপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের অনার্স পড়ুয়া ছেলে হুসাইন আহমেদের (২৩) ডান পা ভেঙ্গে গেছে। ভাঙ্গা পা নিয়ে তিনি গত কয়েক দিন ধরে আলমডাঙ্গার ফাতেমা ক্লিনিকের ৪০৩ নং কেবিনে। সঙ্গে রয়েছেন মা-বাবা ও বোন।এদিকে, সড়ক দুর্ঘটনার পর ভাঙ্গা পা নিয়ে প্রেমিক হুসাইন আহমেদ হাসপাতালে কষ্টে থাকার সংবাদ পেয়ে প্রেমিকা ঝিনাইদহ জেলার লেবুতলার তাসফিয়া সুলতানা মেঘা (১৯) বৃহস্পতিবার ছুটে আসেন। সবকিছু জানার পর প্রেমিকের অভিভাবক প্রেমিকার বাবার সাথে মোবাইলফোনে এ ঘটনা জানালে তিনি মেয়েকে বাড়িতে তুলে নিতে আর রাজি হননি। বলেছেন– একবার যখন ঘর থেকে বের হয়ে গেছে ওই মেয়ে আর ঘরে তুলবেন না। সম্ভব হলে বিয়ে দিয়ে দেবার পরামর্শ দেন।বাবার কথা শুনে ঝিনাইদহ কেসি কলেজ থেকে এ বছর ইন্টারমিডিয়েট পাশ করা তাসফিয়া সুলতানাও বিয়ের দাবিতে অনড় সিদ্ধান্তের কথা ব্যক্ত করেন। এক পর্যায়ে তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। গভীর রাতে হাসপাতালের কেবিনেই কাজী ডেকে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর ওই কেবিনই ছিল তাদের বাসরঘর।বিয়ের ব্যাপারে বর হুসাইনের পিতা আব্দুস সোবহান বলেন, ছেলে-মেয়ের সম্পর্কের জের ধরে দুই পরিবারের মধ্যে আগে থেকেই যাওয়া-আসা ছিল। বিয়ের কথা-বার্তাও চলছিল। কিন্ত হুসাইনের পা ভেঙ্গে যাওয়ায় তাসফিয়ার বাবা-মা কিছুটা বেঁকে যান। তাসফিয়া দেখতে এসে বাড়িতে ফিরে যেতে রাজি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে বিয়ে দিয়েছি।